সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের হাতে স্থানীয় চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক আজকের সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি এম এ মান্নান, দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি অমৃত সেমন্ত জ্যোতি, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের প্রতিনিধি আল-আমিন ও দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি সুরঞ্জন তালুকদার।
মধ্যনগর থানা যুবলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর থানা সদরে অনুষ্ঠিত নৌকার মিছিলের প্রকাশিত সংবাদে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নাম না থাকায় গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ওই ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা সদরের বড় জামে মসজিদের সামনের সড়কে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায়।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় দৈনিক আজকের সুনামগঞ্জ পত্রিকার মধ্যনগর থানা প্রতিনিধি এম এ মান্নান বাদি হয়ে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার মধ্যনগর থানা যুবলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর বাজারে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলের ওই সংবাদটি বুধবার স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশিত ওই সংবাদে মধ্যনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খানের নাম না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন তিনি।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় ওই চার সাংবাদিক মধ্যনগর সদরের বড় জামে মসজিদের সামনে অবস্থান করছে জেনে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন নেতকর্মি ক্ষোভে সেখানে গিয়ে অকথ্য ভাষায় ওই চার সাংবাদিককে গালমন্দ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে তাদের চশমা ও মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মধ্যনগর থানার ওসি মো. সেলিম নেওয়াজ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।